গঙ্গামান্না হাই স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের দাবি নিয়ে এসএফআই-এর মিছিল ও ডেপুটেশন — শিক্ষা ও পরিকাঠামোর উন্নয়নের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিতে গর্জে উঠল গঙ্গামান্না হাই স্কুলের ছাত্রসমাজ। ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের (এসএফআই) বান্দোয়ান লোক্যাল কমিটির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হলো এক সুসংগঠিত মিছিল ও স্কুল গেটে বিক্ষোভ। শেষে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের কাছে ছাত্রছাত্রীদের ন্যায্য দাবিদাওয়া তুলে ধরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মিছিলে গলা মেলালেন শতাধিক ছাত্রছাত্রী। তাঁদের কণ্ঠে ছিল একটাই সুর — “আমাদের অধিকার চাই, সুশিক্ষার পরিবেশ চাই।” দাবি উঠলো, বিদ্যালয়ে নিয়মিত রুটিন মেনে ক্লাস নিতে হবে, দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আলাদা শৌচালয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সেইসাথে বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ও খেলার মাঠ সংস্কার এবং একটি মানসম্পন্ন গ্ৰন্থাগার নির্মাণের কথাও জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ এসএফআই-এর এই দাবিগুলিকে সম্পূর্ণ ন্যায্য ও বাস্তবসম্মত বলে স্বীকার করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, শিক্ষকসংখ্যার অভাব এবং প্রশাসনিকভাবে পর্যাপ্ত অর্থ না পাওয়ার ফলে এইসব সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। BDO অফিস থেকে আর্থিক বরাদ্দ না পাওয়ায় স্কুলের গ্রন্থাগার, শৌচালয় বা বাউন্ডারি নির্মাণের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেও তাঁরা জানান।
এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এসএফআই পুরুলিয়া জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড পবিত্র ব্যানার্জী, বান্দোয়ান লোক্যাল কমিটির সম্পাদক কমরেড রুদ্র নাগ, লোক্যাল কমিটির সভাপতি কমরেড কৃষ্ণ মাঝি, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড সৈকত মুখার্জী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ছাত্রদের পক্ষ থেকে তাঁরা শিক্ষার অধিকার ও সুষ্ঠ পরিকাঠামোর দাবিতে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
এই দাবিগুলি পূরণ না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় আন্দোলনের পথে পা বাড়াতে প্রস্তুত ছাত্র সমাজ। পবিত্র ব্যানার্জী বলেন, “স্কুল হোক শিক্ষার কেন্দ্র, রাজনৈতিক অবহেলার শিকার নয়। প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর শিক্ষার অধিকার রক্ষা করতেই এই লড়াই।”
এই কর্মসূচি প্রমাণ করলো — প্রত্যন্ত গ্রামের ছাত্রছাত্রীরাও আজ নিজেদের দাবি নিয়ে সচেতন, এবং এসএফআই-এর নেতৃত্বে তারা লড়াই করতেও প্রস্তুত। শিক্ষা ও সম্মানজনক পরিকাঠামোর দাবিতে এই সংগ্রাম আগামী দিনে আরও বিস্তৃত হবে, এমন ইঙ্গিত মিলেছে ছাত্রসমাজের কণ্ঠে।